আজঃ বৃহস্পতিবার | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
শিরোনাম

বড়দিন উপলক্ষে শেরপুরের খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ

শেরপুর প্রতিনিধি:
বড়দিন উপলক্ষে শেরপুরের খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে বইছে উৎসবের আমেজ। বছর ঘুরে রোববার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড় দিন। ওইদিন যীশুর জন্মোৎসব পালন উপলক্ষে শেরপুরে ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে সকল প্রস্তুতি। তৈরি করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, যীশুর জন্মস্থানের আদলে গোশাল। বর্ণিল সাজে সেজেছে শেরপুরে ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী ধর্ম পল্লী ও ৩০টি উপধর্ম পল্লীর গির্জা।
খ্রিস্ট ভক্তরা জানান, ওই দিনে যীশু ধরণীতে জন্ম নিয়েছিলেন মানুষ রূপে। সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন শান্তির বার্তা। এই বিশ্বাসেই প্রতিবছরের মতো এবারও যীশু ভক্তরা জাকজমক ভাবে দিনটি উদযাপনের প্রস্তুতি শেষ করেছে।
বড়দিনকে ঘিরে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে বাড়ির গৃহিণীদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। তারা পিঠাপুলি, বিভিন্ন খাবারের আয়োজন করেছেন অতিথিদের আপ্যায়ন করতে।
গৃহিণী রুমা দিও বলেন, আমরা ঘর সাজিয়েছি ক্রিস্টমাস ট্রি দিয়ে। গোশালাও তৈরি করেছি। অতিথিদের জন্য পিঠা, পায়েশসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি হচ্ছে। বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নিতে দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে আসছেন।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর পুরোহিত ফাদার বিপুল ডেভিড দাস সিএসসি বলেন, দুই হাজার বছর আগে বর্তমান ফিলিস্তিনের দক্ষিণ জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গোশালায় মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন যিশু খ্রিস্ট। সেই থেকে প্রতিবছরের ২৫ ডিসেম্বর সারাবিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা মহাসমারোহে পালন করেন যিশুর জন্মদিন। যিশু মানুষকে দেখিয়েছিলেন মুক্তি ও কল্যাণের পথ।
ফাদার বিপুল ডেভিড দাস সিএসসি আরও বলেন, পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য এবং অন্তরের অন্ধকার দূর করে আলোর পথ দেখানোর বাণী নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন যিশু খ্রিস্ট। তিনি বলেছেন, ‘ধনী-গরিবে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। মানুষে মানুষে মিলন, শান্তি যেন স্থাপিত হয় যেন গোটা বিশ্বে।’ এমন প্রত্যাশা থাকবে এবারের বড়দিনে।

আরও দেখুন

ইসলামপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন

ইসলামপুর সংবাদদাতা মঙ্গলবার সারাদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । …