আজঃ সোমবার | ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
শিরোনাম

জামালপুরে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠায় এপির উদ্যোগ

 প্রশিক্ষণে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। ছবি-পল্লীর আলো

জাহাঙ্গীর সেলিম
ছবির মতো একটি গ্রাম হবে। যেখানে পাখির কলতানে মূখর থাকবে প্রতিটি আঙ্গিনা। আপন মহিমায় বেড়ে উঠবে প্রতিটি বৃক্ষ ও বনরাজি। প্রতিটি বাড়ি ঘর পরিচ্ছন্নতার প্রতিক হয়ে উঠবে। প্রতিটি পরিবার ব্যবহার করবে স্বাস্থ্যসম্মত নলকূপ, পায়খানা। আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জৈব সার ও অন্যান্য উপকরণ তৈরির মাধ্যমে আয়ের উৎস তৈরি হবে। নিরাপদ থাকবে জলাশয়গুলো। পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত হবে না কোন শিশু। প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনা হয়ে উঠবে পুষ্টিকর খাদ্যের বাগান। হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল পালন করবে সবাই। এ ধরণের আলোচনায় অন্যরকম এক পরিবেশে ১৩ ও ১৪ মার্চ দুইদিনব্যপী অনুষ্ঠিত হয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ।
ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণে সমাপনী বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা।
জামালপুর শহরে এপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক মুর্শেদ ইকবাল। এতে মূখ্য আলোচক ও সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন। প্রশিক্ষণে কর্মসূচির মাঠ পর্যায়ের ২২ জন কর্মী অংশ নেন।
প্রশিক্ষণ সূত্র জানায়, নির্বাচিত গ্রামের সব বাড়িতে হাত ধোয়ার জায়গা থাকবে। শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করবে এবং নিরাপদ পানি পান করবে। শিশুর অপুষ্টি হার থাকবে ১৫ % এর নিচে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব হবে ৮০% এর উপর। স্বল্প ওজনের নবজাতক এর হার থাকবে ১% এর নিচে। গ্রামের সব কিশোরীরা তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকারগুলো জানবে এবং আনন্দের সাথে সেবা গ্রহণ করবে। কিশোরী এবং নারীরা মাসিক চলাকালিন ব্যবস্থাপনাগুলো জানবে এবং মেনে চলবে।
উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক বলেন, রফিকুল আলম মোল্লা বলেন গ্রামের সকলকে সচেতন করতে হবে। তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য জানাতে হবে। কার্যক্রমের সুদূরপ্রশারী প্রভাব ও ফলাফল সম্পর্কে সজাগ করতে হবে।
উল্লেখ্য, হংকং সরকারের আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়ন সংঘ জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে। দীর্ঘমেয়াদী ও বহুমাত্রিক এপির মূল ফোকাস হচ্ছে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশকে তরান্বিত করা। এসব তথ্য জানিয়ে উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন বলেন, শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে এরিয়া গ্রোগ্রাম (এপি) ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষীরচর ও শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে।

আরও দেখুন

ইসলামপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন

ইসলামপুর সংবাদদাতা মঙ্গলবার সারাদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । …