আজঃ বৃহস্পতিবার | ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
শিরোনাম

মাদারগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে শিক্ষকের উপর হামালা

মেহেদী হাসান
মাদারগঞ্জ উপজেলার ৫নং জোরখালী ইউনিয়নের জোরখালি গ্রামে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে হামলায় জামদহ হাজী জশমত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন (৫২) গুরুতর আহত হয়েছেন।
২৬ নভেম্বর শনিবার সন্ধায় জোরখালী ইউনিয়নের হাটমাগুরা বাজারের পাশের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় আহত শিক্ষক সেলিম মিয়ার সহোদর ভাই মো. হাইদর আলী (৩১) স্থানীয় মৃত সাহাম উদ্দীন মন্ডলের ছেলে মো. তোফাজ্জল মন্ডল (৬৫), তমেজ মন্ডলের ছেলে মো. রবিউল মন্ডল (৫০), মো. মোশারফ হোসেন (৫২), মো. ময়েন মন্ডল (৫৫), মোফাজ্জল মন্ডলের ছেলে মো. রোকন মিয়া (৩৮), মো. লিটন মিয়া (৪২), মৃত আঃ মালেক মন্ডলের ছেলে হাসিজল (৪০) ও রবিউল ইসলামের ছেলে ইলিয়াস হোসেন জয় (২২) সহ আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
আহত শিক্ষক সেলিম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন যাবত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক আমাদের জমি দখলে নিয়ে চাষাবাদ করছে তারা। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী সবাই আতংকিত। তাদের নামে একাধিক মামলা আছে। আমার জমি দখলের বিষয়টি স্থানীয় প্রতিনিধিদের জানালে তখন তারা আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু আমি তাদের হুমকি আমলে না নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে এলাকায় চলাফেরা করতে থাকি। তবে তারা যে আমার উপর হামলা করার সুযোগের অপেক্ষায় ছিল টা আমি বুঝতে পারিনি। গত ২৬ নভেম্বর সন্ধায় আমি স্থানীয় বাজারে সেলুনে চুল কাটানো শেষ করে ইজিবাইকে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল পথিমধ্যে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী আমার ইজিবাইক থামিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। এসময় তাদের কাছে ধারালো দেশিয় অস্ত্র, প্লাষ্টিকের রশি ও লোহার রড হাতে ছিলো।
তিনি আরো জানান, রবিউল মন্ডল ও মোশাররফ মন্ডল নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথেই তারা আমার উপর অতর্কিত হামলা করেন। এক পর্যায়ে রবিউল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্লাষ্টিকের রশি দিয়ে গলায় চেপে ধরে। মোশাররফ লোহার রড দিয়ে বাম পায়ে আঘাত করে পায়ের ভেংগে ফেলে। হামলায় অজ্ঞান হলে হামলাকারীরা রাস্তার পাশে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন আছি। এরপরেও তারা আমার ও আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
৫ নং জোরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুজা মিয়া বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একজন ভদ্র ও আলোকিত মানুষ সেলিম হোসেন। তার উপর এমন সন্ত্রাসী হামলা সত্যিই নিন্দনীয়। বিষয়টি আমি জেনেছি। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।
জোরখালি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মনোয়ারুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক সেলিম মিয়া তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবি করে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। চুরি থেকে শুরু করে একাধিক মামলা রয়েছে তাদের নামে। সহকারী শিক্ষকের উপর এমন নেক্কারজনক হামলায় তাদের দ্রæত বিচার দাবি করেন তিনি।
সহকারী শিক্ষক সেলিম হোসেনের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার ঘটনা ও প্রাণনাশের হুমকিদাতাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আরও দেখুন

ইসলামপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন

ইসলামপুর সংবাদদাতা মঙ্গলবার সারাদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । …