হাসর আলী:
জামালপুরের ইসলামপুরে নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাঠমা গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে নদী পাড়ের কয়েকটি গ্রামের শত শত পরিবার। গত ১৫দিন ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের ফলে ফসলী জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে ভাঙন অব্যাহত থাকায় মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পশ্চিমের এলাকায় মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
জানা গেছে, যমুনার নদীর পানি হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির ফলে কাঠমা গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নদীভাঙন কবলিত এলাকায় বালু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বলগেট দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। যার ফলে গত ১৫ দিন যাবত ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে কাঠমা গ্রাম একেবারে মুছে যাবে। ভাঙনকবলিত লোকজন তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
এলাকাবাসী জানান, রাত-দিন ২৪ ঘন্টা বালু উত্তোলন করার ফলে ঘূর্ণণবর্তার সৃষ্টির ফলে নদী তলদেশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে আমাদের ভিটামাটি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হবে। নদী ভাঙন রোধকল্পে স্থায়ীভাবে পাইলিং বাঁধ নির্মানে দাবী জানান গ্রামবাসী।
ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রোমান হাসান বলেন, হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়া ভাঙন সৃষ্টি শুরু হয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙ্গনে মানুষ গুলো রক্ষা পেতে প্রশাসনের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান, ভাঙন রোধে গত ৬ আগষ্ট ৩৩০ মিটার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। পরবর্তীতে ভাঙনের খবর শুনে গত ৩১ অক্টোবর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. তানভীর হাসান রুমানের সাথে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বালু উত্তোলনকারীর নাম কি? বলেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।