আজঃ বৃহস্পতিবার | ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
শিরোনাম

জামালপুরে ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতের পিঠা বানানোর ধুম

শহরের বকুলতলায় ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানে পিঠা তৈরী করেন এক নারী পিঠা বিক্রেতা। ছবি-পল্লীর আলো

নাঈম আলমগীর:
জামালপুর শহরে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে শীতের পিঠা বানানোর ধুম পড়েছে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে বাহারি রকমের পিঠা তৈরি করছেন অন্তত কয়েকশত দোকানি। ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে পিঠা কিনতে ভিড় করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
শীত এলেই বাঙালির মনে পড়ে শীতের পিঠার কথা। পিঠা ছাড়া বাংলার শীত যেন পরিপূর্ণ হয় না। ঐতিহ্যবাহী শীতের বাহারি পিঠা খাওয়ার রীতি বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ। একসময় পাড়ায়-পাড়ায় বা মহল্লায়-মহল্লায় ছোট-বড় সকলেই পিঠা খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠতো। কিন্তু এখন তা আর চোখে পড়েনা। কর্মচাঞ্চল্য এই ব্যস্তময় জীবনে তা এখন অনেকটাই হারিয়ে গেছে বা যাওয়ার পথে। ব্যস্ত জীবনে অনেকেরই বাসায় পিঠা তৈরির সময় নেই। তাইতো সন্ধ্যার পর হিমেল হাওয়ায় ধোয়া ওঠা গরম ভাপা পিঠার স্বাদ নিতে জামালপুর শহরে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। শহরের ফুটপাত, রাস্তার মোড়, হাট-বাজারগুলোতে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, তেলের পিঠা, কুলি পিঠা, পাটি সাপটা, মুঠা পিঠা, ঝাল পিঠাসহ বাহারি নামের পিঠা বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা এবং সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি ও খাওয়ার পালা। রিকশাচালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এসব পিঠার দোকানে ভিড় করেন। ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়েও পিঠা খেতে বসেন অনেকে। অনেকে কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে এসব পিঠা নিয়ে যান। ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারীও পিঠা বিক্রি করছেন। ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করে জীবন চলছে অন্তত দুই হাজার মৌসুমি পিঠা বিক্রেতা পরিবারের।
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পিঠা তৈরী ও পরিবেশনের উপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

আরও দেখুন

ইসলামপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন

ইসলামপুর সংবাদদাতা মঙ্গলবার সারাদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । …