আজঃ শনিবার | ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
শিরোনাম

জামালপুর পৌরসভায় স্থায়ী চাকুরী হলো শারিরীক প্রতিবন্ধী আকলিমার

জামালপুরে শারিরীক প্রতিবন্ধী আকলিমার হাতে চাকুরীর নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি-পল্লীর আলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুর পৌরসভায় সহকারী কর আদায়কারী পদে স্থায়ী চাকুরী পেলেন শারিরীক প্রতিবন্ধী আকলিমা আক্তার। এর আগে তিনি পৌরসভায় কম্পিউটার অপারেটর পদে অস্থায়ীভাবে চাকুরী করতেন। মঙ্গলবার বিকালে পৌরভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আকলিমার হাতে চাকুরীর স্থায়ী নিয়োগপত্র তুলে দেন পৌর মেয়র। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামানসহ পৗরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জামালপুর শহরের কম্পপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের কন্যা আকলিমা শারীরিক প্রতিবন্ধীত্বকে জয় করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করলেও কোন কাজ না পাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। ২০২১ সালের ১৭ মে হামাগুঁড়ি দিয়ে পৌরসভার দ্বিতীয়তলায় মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুর সাথে দেখা করেন। তার দু:খ কষ্টের কথা শুনে মেয়র তখন অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরী প্রদান করেন। আশ^াস দেন চাকুরী স্থায়ী করার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবন্ধী আকলিমাকে অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে একজন প্রকৌশলীর সাথে নিজ খরচে বিবাহ দেন পৌর মেয়র।
চাকুরী স্থায়ী করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আকলিমা।
এসময় কান্নাজড়িত কন্ঠে আকলিমা বলেন, একটা চাকরির জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি। সংবাদের শিরোনাম হয়েছি। তবুও কেউ একটা চাকরির ব্যবস্থা করে নি। জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু আমার কথা শুনেই আমাকে অস্থায়ীভাবে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আজ আমি আর আমার পরিবারের বুঝা নই।
পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, মানুষের পাশে থেকে আত্মমানবতার সেবায় কাজ করার প্রতিশ্রুতি নিয়েই মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকার বিশেষ ভাতা চালু করেছে। আকলিমা তার নিজ যোগ্যতায় চাকুরী পেয়েছেন।

আরও দেখুন

ইসলামপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন

ইসলামপুর সংবাদদাতা মঙ্গলবার সারাদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । …